‘কৃষিপণ্য পরিবহনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যেন হয়রানি না করে’
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন মৌসুমি ফল এবং কৃষিপণ্য পরিবহনে ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহনে যেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী কোন হয়রানি না করে, সেদিকে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি দিতে।
শনিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভা সম্মেলন কক্ষ থেকে করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আম, লিচুসহ মৌসুমি ফল এবং কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে অনলাইনে (জুম প্ল্যাটফর্মে) মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এছাড়া তিনি বলেছেন, দেশীয় ফলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে মধু মাসে বিদেশি ফল আমদানি কমাতে হবে ।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ী, আড়তদার ও ফড়িয়াদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে পরিচয়পত্র ইস্যু এবং ব্যাংকের লেনদেনের সময়সীমা বাড়াতে হবে। এই মধুমাসে বিদেশি ফল যেমন আপেল, আঙ্গুর প্রভৃতি আমদানি কমানোর পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, হাওরে ধান কাটা শ্রমিকদের যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠানো হয়েছে, তেমনি অন্যান্য জেলা হতে ব্যবসায়ী, আড়তদার ও ফড়িয়াদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করা প্রয়োজন। তাদেরকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রত্যয়নপত্র প্রদান ও নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা নিতে হবে। মৌসুমি ফল এবং কৃষিপণ্য পরিবহনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ট্রাক ও অন্যান্য পরিবহনের অবাধে যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে হবে। এসব পরিবহনের সময় যেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী কোনরূপ হয়রানি না করে, সে ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিআরটিসির ট্রাক ব্যবহারে উদ্যোগ নেওয়া পরামর্শ দেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক সভায় সভাপতিত্ব করেন।
এসময় কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহ্রিয়ার আলম, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহম্মেদ শিমুল, কৃষি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ,এবং জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট সিম্পসন অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান।