ধামরাইয়ে সরকারি মাটি ইটভাটার অতঃপর জরিমানা
নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকার ধামরাইয়ে করোনার আতঙ্কে প্রায় সব ধরনের কাজকর্ম বন্ধ থাকলেও বন্ধ নেই সরকারি মাটি লুট করা। এ মাটি বিক্রি করছেন সরকার দলীয় এক নেতা। আর তা কিনে নিচ্ছে আরেক নেতা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের শ্বশুর মদিনা ব্রিকস নামক এক ইটভাটার মালিক মুনসুর আহম্মেদ। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমান আদালত। এতে ওই ইটভাটার মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভ’মি) অন্তরা হালদার।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অন্তরা হালদার জানান, ‘এলাকাবাসী ও ভ’মি মন্ত্রণালয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে কুল্লা ইউনিয়নের সীতি এলাকায় বেতলাইবিলের (জলাশয়) সরকারি জমি থেকে মাটি কেটে নিচ্ছে মদিনা ব্রিকস নামক একটি ইটভাটার মালিক মুনসুর আহম্মেদ। পরে সেখানে গিয়ে অভিযান পরিচালনা করে এর সত্যতা পাওয়া যায়। ফলে ওই ইটভাটার মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়’।
এদিকে সরেজমিনে গেলে মদিনা ব্রিকস এর মালিক মনসুর আহম্মেদ বলেন, বেতলাইবিল থেকে আমি ২৫ ট্রাক মাটি এনেছি এটা সত্য। তবে তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার পাশেই মেসার্স মাহী এন্টারপ্রাইজ (এমএমই) নামক ইটভাটায় গত তিন বছর ধরে বেতলাইবিলের সরকারি মাটি দিয়ে ইট তৈরী আসছে। সেখানে কোন অভিযান পরিচালনা করেনি সরকারি কোন কর্তৃপক্ষ। এছাড়া তিনি আরো বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সাকু বেতলাই বিলের মাটি বিক্রি করছেন। তার কাছ থেকেই এ মাটি কেনা হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সাকু মাটি বিক্রি করার কথা স্বীকার করে বলেন, বেতলাই বিল লীজ নেওয়া হয়েছে। তবে কে নিয়েছে তা তিনি বলতে পারেননি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাদ্দেছ হোসেনের শ্বশুর জোর করেই মাটি নিয়েছে। এখনো তার কাছে সাড়ে তিন লাখ টাকা পাওয়া যাবে’।