খুন হওয়া শ্রীপুরের নূরা সাবরিনা জিপিএ ৫ পেয়েছে
বিশেষ প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটী ইউনিয়নের আবদার বাজার এলাকায় মা ও ভাই-বোনদের সঙ্গে হত্যার শিকার এসএসসি পরীক্ষার্থী নূরা সাবরিনা জিপিএ ৫ পেয়েছে। তার রোল নাম্বার ১২৩২২৩।
সে স্থানীয় জৈনা বাজার এইচকে একাডেমি অ্যান্ড স্কুল থেকে ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
এইচকে একাডেমি অ্যান্ড স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাহীন সুলতানা জানান, রোববার দুপুর ১টার দিকে নূরা সাবরিনার চাচা জাহিদ হাসান আরিফ ফলাফল নিতে বিদ্যালয়ে আসেন। তিনি এ সময় শিক্ষক ও অভিভাবকদের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। কান্নায় তিনি কোনো কথাও বলতে পারেননি।
শিক্ষক-অভিভাবকসহ বিদ্যালয়ে উপস্থিত সবাই কান্না করে আফসোস ও দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।
প্রধান শিক্ষক জানান, হত্যাকাণ্ডের শিকার নূরা সাবরিনা মেধার পাশাপাশি অত্যন্ত বিনয়ী শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচিত ছিল।
নূরা সাবরিনার চাচা জাহিদ হাসান আরিফ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলটি-ই আমরা পেলাম। কিন্তু যার ফলাফল কেবল সে ও তার মা, ভাই-বোন কেউ নেই। এ হত্যাকাণ্ড এবং ফলাফল আমাদের পরিবারের বেঁচে থাকা প্রত্যেক সদস্য বিষাদের স্মৃতি আমৃত্যু বহন করবে।
২৩ এপ্রিল বিকালে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার আবদার বাজার এলাকার প্রবাসী রেদোয়ান হোসেন কাজলের বাড়ি থেকে স্ত্রী ইন্দোনেশিয়ান নাগরিক স্মৃতি আক্তার ফাতেমা (৪৫), তার বড় মেয়ে সাবরিনা সুলতানা নূরা (১৬), ছোট মেয়ে হাওয়ারিন (১২) ও প্রতিবন্ধী ছেলে ফাদিলের (৮) জবাই করা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই ঘটনায় প্রবাসে অবস্থানকারী গৃহকর্তা রেদোয়ান হোসেন কাজলের বাবা মো. আবুল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের অভিযুক্ত করে শ্রীপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) একজন ও র্যাব-১-এর সদস্যরা পাঁচজনকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতাকৃতরা আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করলে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।