হাতিয়ায় অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট
জার্নাল বাংলা ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ‘বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় ১৫০০ বিদ্যালয় নির্মাণ’ প্রকল্পের অধীনে নিঝুমদ্বীপের চার নম্বর ওয়ার্ডে ২০১৬ সালে স্থাপন করা হয় বাতায়ন কিল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। স্থাপনের পর থেকে স্থায়ীভাবে কোনও শিক্ষক নিয়োগ না দেওয়ায় আলোর মুখ দেখেনি বিদ্যালয়টি। সম্প্রতি নতুন নিয়োগে দুজন শিক্ষককে এই বিদ্যালয়ে নিয়োগ দিলে ও দুই জনের পক্ষে বিদ্যালয়ের অফিসিয়াল কার্যক্রম সম্পূর্ণ করার পর পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষক সংকটের কারণে নিঝুমদ্বীপে পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়াও নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় অধিকাংশ গ্রামের বিদ্যালয়গুলোতে একই অবস্থা বিরাজ করছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, হাতিয়ায় ২ ২৭ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান ও সহকারী শিক্ষকের পদ রয়েছে এক হাজার ৩২৮ টি। গেল ২৫ ডিসেম্বর এ উপজেলায় নতুন ৮৯ জন নিয়োগ দেওয়ার পর ও প্রধান শিক্ষকের ২৮ টি ও সহকারী শিক্ষকের ৭৪টি পদ শুন্য রয়েছে।
এদিকে করোনা পরবর্তী সময়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ও শিক্ষক সংকট দূর করতে সম্প্রতি লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণকারী হাতিয়ায় ২০৪ জন শিক্ষিত বেকার তাদেরকে প্যানেলে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান। ইতিমধ্যে এ সকল প্রার্থীরা তাদের দাবি উপস্থাপনের জন্য উপজেলা ভিত্তিক কমিঠি করে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
হাতিয়ায় শিক্ষক নিয়োগে প্যানেল প্রত্যাশী কমিটির আহ্বায়ক মহিবুল মাওলা জানান, সরকার শূন্য পদের বিপরীতে ৩০ জুলাই ২০১৮ সালে সর্বশেষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল। কিন্তু অনেক পদ শূন্য রেখে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে। ২০১৮ সালের পূর্বে বিভিন্ন সময় সরকার প্যানেলের মাধ্যমে কয়েক দাফ শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে ছিল। আমাদের দাবি করোনার এ ক্রান্তি মুহূর্তে আমাদের কথা বিবেচনা করে সরকার এবারও প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগ দিবেন। এতে করে প্রধানমন্ত্রীর ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হবে।
এ ব্যাপারে হাতিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ভবরঞ্জন দাস জানান, হাতিয়ায় ১০২টি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এসব শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দিলে গ্রামের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।